Sunday, February 25, 2018
Thursday, February 22, 2018
উন্নয়নের পথে মহা সড়ক বকশীগঞ্জ টু কামালপুর ।
মোঃ মোশারফ হোনসন (বিশেষ প্রতিনিধি )ঃ উন্নয়নের মহাসড়কে অর্ন্তভুক্ত হতে যাচ্ছে বকশীগঞ্জ। চলছে কামালপুর টু বকশীগঞ্জ রাস্তা ডাবল ল্যান্ডের কাজ। ইত্যিমধ্যে এ কাজের অংশ হিসাবে রাস্তার দু-পাশের গাছ কাটার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এভাবে চলতে থাকলে চলতি মাসেই গাছ কাটা শেষ হবে।
এরপর শুরু হবে রাস্তার দু-পাশ্বে মাটি ভরাটের কাজ। ইত্যিমধ্যে এ রাস্তা প্রশস্ত ও মজবুতি করণের জন্য একনেক অনুমোদন দিয়েছে। এ বছরের মাঝামাঝিতে এ রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে।
প্রকল্পটিতে ব্যায় ধরা হয়েছে ৩৬৬ কোটি টাকা। যা বকশীগঞ্জের উন্নয়নের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক বরাদ্দ। আর পিছনে রয়েছেন এমপি আবুল কালাম আজাদ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহেদুজ্জামান প্রকল্পটি প্রসঙ্গে বলেন, জামালপুর- ধানুয়া কামালপুর- রৌমারী মহাসড়কের ৫৯ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ করা হবে। এর জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সড়কটি নির্মিত হবে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার কদমতলা পর্যন্ত।
এ প্রকল্পের আওতায় দুই পাশে মাটিসহ সড়কটি প্রশস্ত হবে ৩০ ফুট। এর মধ্যে পাকা অংশ থাকবে ২৪ ফুট। এ প্রকল্পে আওয়তায় কামালপুর স্থল বন্দরে গাড়ী চলাচলের জন্য ১ কিলোমিটার রাস্তাও ধরা হয়েছে।
জেলা শহরের জামালপুরের সাথে বকশীগঞ্জের যোগাযোগের অন্যতম রাস্তাটি সরু হওয়াও এতদিন এ অঞ্চলের সাধারন মানুষ চরমভাবে দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছিল।
জামালপুর থেকে বকশীগঞ্জ মাত্র ৩৬ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে ১ ঘন্টার বেশি সময় লেগে যায়। দুটি বাস ক্রসিং করতেই লেগে যায় প্রায় ২০ মিনিট। এতে করে সময়ের সাথে ও অর্থ অপচয় হয়।
এই রাস্তা নির্মান হলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বকশীগঞ্জ তথা এ অঞ্চলের অমুল পরিবর্তণ আসবে বলে স্থানীয়রা জানান।
এ রাস্তা দিয়ে কুড়িগ্রামের ২টি, জামালপুর ৪টি ও শেরপুর জেলার ২টি উপজেলার মানুষ যাতায়ত করে থাকে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, এ রাস্তা নির্মান হলে বকশীগঞ্জ শুধু অর্থনৈতিকভাবে লাভবানই হবে না, আমার বকশীগঞ্জ উপজেলা বাসীর জীবন যাত্রার মানও উন্নত হবে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সায়েম জানান, এতদিন এ রাস্তা ছিল প্রাণের দাবী। এ রাস্তা নির্মাণ হলে দুরত্ব না কমলেও সময় অপচয় রোধ হবে।
এ রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হতে দেখে সাধারন মানুষও খুব খুশি।
সীমারপাড় এলাকার বাসিন্দা সুহেল আহাম্মদ জানান, আমরা জেলা শহরে যেতে হলে আমাদের চরম দুর্ভোগের সম্মুখ হতে হয়। বিশেষ করে ইসলামপুর টানাব্রিজ ও শ্রীবরদী ঝগড়ারচর এলাকায় বাজার দুপাশে দোকান বসায় ১ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে প্রায় আধা ঘন্টা সময় লেগে যায়। রাস্তা প্রশস্ত করনের পাশাপাশি এ দুই স্থানে রাস্তার পাশে যেন ভ্রাম্যমান দোকান না বসে তারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
আরেক বাসিন্দা কামাল হোসেন জানান, এ রাস্তা ছিল নির্বাচনি রাস্তা। বিগত দিনে নির্বাচনের পুর্বে এই রাস্তা করে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অনেকজনই। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে আর কেউ করে দেননি। আমাদের এমপি আবুল কালাম আজাদ কথা রেখেছেন।
এদিকে পরিবহণ ব্যাবসায়ীরাও এ রাস্তা নির্মাণে অনন্দিত। পরিবহন ব্যবসায়ী আব্দুল কাইয়ুম জানান, আমরা যানবাহনের সাথে জড়িত। বকশীগঞ্জ থেকে নন্দীবাজার পর্যন্ত রাস্তা সরু হওয়ায় একটি বাস মাত্র ২৬ কিলোমিটার পাড়ি দিতেই প্রায় ঘন্টাখানেক লেগে যায়। রাস্তাটি টু ল্যান্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ হলে মাত্র ২০ মিনিটেই পাড়ি দেওয়া সম্ভব।
বহুল আলোচিত ও প্রত্যাশিত এই রাস্তাটি টু ল্যান্ডে রূপান্তরিত হলে সুবিধাভোগ করবে ৩ জেলার প্রায় ২০ লক্ষাধিক মানুষ।
সদস্য হোন,সমাজ থেকে অন্যায় দূর করুন এবং সাহায্য করুন । অামাদের আবেদন ফরম পেতে ক্লিক করুন
Add caption |
বাট্টাজোড়ের লক্ষাধীক মানুষ ভোগান্তিতে, ঝুলে আছে নির্বাচন ।
মোঃ মিল্লাত (বিশেষ প্রতিনিধি)ঃ দীর্ঘদিন যাবত ঝুলে আছে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের নির্বাচন। বকশীগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বকশীগঞ্জ সদর ও বাট্টাজোড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঝুলে রয়েছে।
২০১৩ সালে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নটি পৌরসভায় রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে এ ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বকশীগঞ্জ পৌরসভার একটি সুত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌরসভা গঠন করতে সদর ইউনিয়নের পাশাপাশি পাশ্ববর্তী বাট্টাজোড় ইউনিয়ন থেকে একটি ওয়ার্ড পৌরসভায় অন্তভুক্ত করতে হয়েছে। ফলে বকশীগঞ্জ ইউনিয়নের অবশিষ্ট্য অংশ ও বাট্টাজোর ইউনিয়নের জন্য নতুন করে ওয়ার্ড বিভাজনের প্রয়োজনীতা দেখা দেয়। কিন্তু প্রশাসনের উদাসিনতার কারণে দীর্ঘ ৪ বছরের উক্ত ইউনিয়ন দুটিতে ওয়ার্ড বিভাজন সম্পন্ন হয়নি। একমাত্র ওয়ার্ড বিভাজনের কারণেই ঝুলে আছে ওই দুটি ইউনিয়নের নির্বাচন। এতে ইউনিয়ন দুটি উন্নয়ন বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়তই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ৫০ হাজার সাধারন মানুষ।
বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান সিদ্দিক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এসব এলাকায় ওয়ার্ড বিভাজনের কাজে মনোনিবেশ করেন। ইত্যিমধ্যেই তিনি বকশীগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড বিভাজন সম্পন্ন করে বকশীগঞ্জ এলাকাবাসীর নিকট সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখেছেন।
গোয়ালগাও এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল জানান, আমরা কোন এলাকার বাসিন্দা এখন পর্যন্তও জানি না। ইউনিয়ন পরিষদে গেলে পৌরসভা আর পৌরসভায় গেলে ইউনিয়ন পরিষদ যেতে বলে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার জানান, ওয়ার্ড বিভাজন সম্পন্ন ব্যতিরেকে কোন এলাকাতেই নির্বাচন সম্ভব নয়।
দ্রুত ওয়ার্ড বিভাজন সম্পন্ন করে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের নির্বাচন চায় এলাকাবাসী।
২০১৩ সালে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নটি পৌরসভায় রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে এ ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বকশীগঞ্জ পৌরসভার একটি সুত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌরসভা গঠন করতে সদর ইউনিয়নের পাশাপাশি পাশ্ববর্তী বাট্টাজোড় ইউনিয়ন থেকে একটি ওয়ার্ড পৌরসভায় অন্তভুক্ত করতে হয়েছে। ফলে বকশীগঞ্জ ইউনিয়নের অবশিষ্ট্য অংশ ও বাট্টাজোর ইউনিয়নের জন্য নতুন করে ওয়ার্ড বিভাজনের প্রয়োজনীতা দেখা দেয়। কিন্তু প্রশাসনের উদাসিনতার কারণে দীর্ঘ ৪ বছরের উক্ত ইউনিয়ন দুটিতে ওয়ার্ড বিভাজন সম্পন্ন হয়নি। একমাত্র ওয়ার্ড বিভাজনের কারণেই ঝুলে আছে ওই দুটি ইউনিয়নের নির্বাচন। এতে ইউনিয়ন দুটি উন্নয়ন বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়তই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ৫০ হাজার সাধারন মানুষ।
বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান সিদ্দিক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এসব এলাকায় ওয়ার্ড বিভাজনের কাজে মনোনিবেশ করেন। ইত্যিমধ্যেই তিনি বকশীগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড বিভাজন সম্পন্ন করে বকশীগঞ্জ এলাকাবাসীর নিকট সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখেছেন।
গোয়ালগাও এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল জানান, আমরা কোন এলাকার বাসিন্দা এখন পর্যন্তও জানি না। ইউনিয়ন পরিষদে গেলে পৌরসভা আর পৌরসভায় গেলে ইউনিয়ন পরিষদ যেতে বলে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার জানান, ওয়ার্ড বিভাজন সম্পন্ন ব্যতিরেকে কোন এলাকাতেই নির্বাচন সম্ভব নয়।
দ্রুত ওয়ার্ড বিভাজন সম্পন্ন করে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের নির্বাচন চায় এলাকাবাসী।
Wednesday, February 21, 2018
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাষা শহীদদের প্রতি অন্যায় নির্মুল সংঘ পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সামাজিক সংগ্ঠন অন্যায় নির্মুল সংঘ
অদ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্যায় নির্মুল সংঘ এর উপদেষ্টা
জনাব মোঃ মোস্তাফা কামাল(চেয়ারম্যান03 ধানুয়া কামালপুর), বিদ্যালয়ের ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন, মেসবাবুল হক তুহিন (উপদেষ্টা অন্যায় নির্মুল সংঘ), সহকারী শিক্ষকগন,ছাত্র-ছাত্রী,অন্যায় নির্মুল সংঘের সহ সভাপতি শহিদুল্লা, এবং অন্যায় নির্মুল সংঘের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ও মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন ।
রাইটার
বনি ইয়ামিন লাজু
সাংগঠনিক সম্পাদক
অন্যায় নির্মুল সংঘ
আরো ফটো ফাইল