বাইরে যতোই চিল্লাচিল্লি করেন, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে গালাগালি করেন, টকশোতে বসে জ্ঞান দিতে থাকেন, চায়ের দোকানে বসে ইস্যু কপচায়ে হিসু থামায়ে রাখেন
যা খুশি করুন গে....
ক্লাসে যখন আমি শিক্ষক হিসেবে ঢুকি, সেখানে আমিই নেতা, আমিই বস, আমিই গুরু। আমার সামনে বসা, ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা এই অবলা প্রাণীগুলোকে কী শিখিয়ে, কীভাবে শিখিয়ে পশুত্বদের দমন ঘটিয়ে মনুষ্যত্ব শেখাবো সেটা একান্তই আমার ব্যাপার।
না জানলে জেনে রাখেন,
একজন নেতার বক্তব্য কর্মীরা না শুনলে সভা বন্ধ করা যায়, একজন শিক্ষকের একমুহূর্তের জন্যও ক্লাসে অমনোযোগী হওয়া যায় না। সন্তানদের বাবার সামনে যতোটা নতজানু দেখেন, বাইরে ততোটা না। কাজেই শিক্ষককে শুধু বই শেষ করলেই চলে না, তাকে তার ব্যক্তিত্বটুকুও বজায় রেখেই এ পেশায় টিকে থাকতে হয়।
একজন নেতার বক্তব্য কর্মীরা না শুনলে সভা বন্ধ করা যায়, একজন শিক্ষকের একমুহূর্তের জন্যও ক্লাসে অমনোযোগী হওয়া যায় না। সন্তানদের বাবার সামনে যতোটা নতজানু দেখেন, বাইরে ততোটা না। কাজেই শিক্ষককে শুধু বই শেষ করলেই চলে না, তাকে তার ব্যক্তিত্বটুকুও বজায় রেখেই এ পেশায় টিকে থাকতে হয়।
ক্লাসে পাঠালে শাসিত হবে আপনাদের আদরের দুলাল-দুলালিরা তাই লুতুপুতু করে কোচিংয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন আপনারা। তাতে কি মানবিক জ্ঞানের একটা বাক্যও শিক্ষক বলবে? বলবে না কারণ ওসব গজ গজানি আপনি ও আপনার সন্তান কেউই নিতে পারেন না। প্রকারান্তরে, আপনার সন্তান যা একটু শিখছে বই বা গাইডেরই জ্ঞান, মানসিক বিকাশ কীভাবে ঘটবে ওদের?
অরিত্রীর কথা একটু বলি,
আপনারা এতোই দায়িত্ববান অভিভাবক, তাহলে মোবাইল কেন চালাতে দিলেন অতটুকু বাচ্চাকে? দিলেন তো দিলেন, একেবারে পরীক্ষার হল পর্যন্ত নকলসমেত চলে এলো, টেরও পেলেন না? নাকি আপনারাও পরীক্ষার রাতে সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর হয়ে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্ন খুঁজতে থাকা অভিভাবক? যদি তাই হয়ে থাকেন, তাহলে আমার কিছুই বলার নেই। আর হ্যাঁ, অরিত্রীকে ঐ শিক্ষক অপমান করার সাথে সাথেই আত্মহত্যা নিশ্চয়ই করেনি, বাসায় নিয়ে আপনারাও তখন অতি সচেতন অভিভাবক হয়ে শিক্ষকের বর্তানো দোষগুলো অবুঝ সন্তানের উপর উগড়ে দিয়েছেন নিশ্চয়ই এভাবে বলে- "আজ তোর জন্য আমাদের এভাবে অপমানিত হতে হলো! এজন্য তোর পিছনে আমাদের এতো বিনিয়োগ?....." সচেতন অভিভাবকই যদি হবেন এগুলো কেন বলেছেন?
আপনারা এতোই দায়িত্ববান অভিভাবক, তাহলে মোবাইল কেন চালাতে দিলেন অতটুকু বাচ্চাকে? দিলেন তো দিলেন, একেবারে পরীক্ষার হল পর্যন্ত নকলসমেত চলে এলো, টেরও পেলেন না? নাকি আপনারাও পরীক্ষার রাতে সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর হয়ে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্ন খুঁজতে থাকা অভিভাবক? যদি তাই হয়ে থাকেন, তাহলে আমার কিছুই বলার নেই। আর হ্যাঁ, অরিত্রীকে ঐ শিক্ষক অপমান করার সাথে সাথেই আত্মহত্যা নিশ্চয়ই করেনি, বাসায় নিয়ে আপনারাও তখন অতি সচেতন অভিভাবক হয়ে শিক্ষকের বর্তানো দোষগুলো অবুঝ সন্তানের উপর উগড়ে দিয়েছেন নিশ্চয়ই এভাবে বলে- "আজ তোর জন্য আমাদের এভাবে অপমানিত হতে হলো! এজন্য তোর পিছনে আমাদের এতো বিনিয়োগ?....." সচেতন অভিভাবকই যদি হবেন এগুলো কেন বলেছেন?
বড়ো কষ্ট লাগে, জানেন?
হাত থেকে বেত কেড়ে নিয়েছেন কিছু বলি নাই, কান ধরে উঠ বস করিয়েছেন চুপ করে ছিলাম, পকেটের কলমটাও না সরিয়ে হাতে অস্ত্র ধরিয়ে ফটোসেশন করিয়েছেন.... নির্বাক তাকিয়েছিলাম আমরা। তাতে কি পেয়েছেন আপনাদের বিবেকবোধসম্পন্ন, অনুগত, সুশৃঙ্খল, পরিশ্রমী, সৎ চিন্তাশীল প্রজন্ম?
হাত থেকে বেত কেড়ে নিয়েছেন কিছু বলি নাই, কান ধরে উঠ বস করিয়েছেন চুপ করে ছিলাম, পকেটের কলমটাও না সরিয়ে হাতে অস্ত্র ধরিয়ে ফটোসেশন করিয়েছেন.... নির্বাক তাকিয়েছিলাম আমরা। তাতে কি পেয়েছেন আপনাদের বিবেকবোধসম্পন্ন, অনুগত, সুশৃঙ্খল, পরিশ্রমী, সৎ চিন্তাশীল প্রজন্ম?
০৮/১২/২০১৮
জামালপুর
জামালপুর
0 comments:
Post a Comment