Breaking News

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Tuesday, February 26, 2019

What is the best torrent site for books?


www.myanonamouse.net is a great "private" tracker for E-Books, Audio Books, Radio Shows and and Musicology. It has more than 183k torrents and you can even request for your books to be uploaded. It is an invite only site but you can get an invite through their interview process which is really easy!

There are a lot of trackers out there that have similar content, but what makes MyAnonamouse special is their Community. It will be the most friendliest community you'll ever find on the internet.
Here are other websites:
Edit:
Added /u/sithyiscool comment here for my own reference!:
and thanks for the Gold stranger!)

Saturday, February 23, 2019

জামালপুর জেলা সম্পর্কিত কিছু তথ্যঃ

জামালপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাংশের অঞ্চল। ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চলে । পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এটি রেল পথে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, এবং বাহাদুরাবাদ ঘাট ও ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, এবং মেঘালয় (ভারত) এর সঙ্গে রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত। কৃষি প্রধান এ অঞ্চলে মূলত প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট, আখ, সরিষা বীজ, চিনাবাদাম, এবং গম হয়।ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্য ও রপ্তানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হল জামালপুর।দেশের সবথেকে বড় সার কারখানা এখানেই রয়েছে


ভৌগোলিক সীমানা

উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য ও গারো পাহাড়, কুড়িগ্রাম জেলা, পূর্বে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা এবং পশ্চিমে যমুনা নদীর তীরবতী সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলা।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
জামালপুর জেলা ৭টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত; এগুলো হলোঃ

ইসলামপুর,
জামালপুর সদর,
দেওয়ানগঞ্জ,
বকশীগঞ্জ,
মাদারগঞ্জ,
মেলান্দহ এবং
সরিষাবাড়ি।
জামালপুর জেলার লোকজন সাধারণত ভাত, মাছ, মাংশ, ডাল ও শাক-সবজি খেতে পছন্দ করে। তবে কারো মৃত্যু উপলক্ষে বা কোন বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ জেলার মানুষ একটি বিশেষ খাবার খেয়ে থাকে। তা হলো মেন্দা বা মিল্লি বা মিলানি বা পিঠালি। দেখতে অনেকটাই হালিমের মতো। যেটি গরু বা খাসি বা মহিষের মাংশের সাথে সামান্য চালের গুড়া ও আলু দিয়ে রান্না করা হয়। তার সাথে সাদা ভাত ও মাশকলাইয়ের ডাল। অনেক জায়গায় খাবার শেষে দৈ ও মিষ্টিও দিয়ে থাকে।

শিক্ষা

শিক্ষার গড় হার ৭৭%; যার মধ্যে পুরুষ ৪১.১% ও মহিলা ৩৫.৯%। এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় - ১ টি,
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় - ১ টি,
মেডিকেল কলেজ - ১ টি,
টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট - ১টি
সরকারী কলেজ - ৫ টি,
বেসরকারী কলেজ - ২০ টি,
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৭ টি,
বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ২২৪ টি,
মাদ্রাসা - ১১৩ টি,
জুনিয়র হাইস্কুল - ৩৮ টি,
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৫৮৮ টি,
বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৩৯০,
কিন্ডার গার্টেন স্কুল - ১৩,
আইন কলেজ - ১ টি,
হোমিওপ্যাথি কলেজ - ১ টি,
কৃষি গবেষণা কেন্দ্র - ১ টি।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ

মুক্তিযোদ্ধা
মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম (১৯৩৭-১৯৭৫) - মুক্তিযুদ্ধে ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার এবং 'কে-ফোর্স'-এর সর্বাধিনায়ক;
মোঃ নুরুল ইসলাম (বীর বিক্রম);
মোঃ মতিউর রহমান (বীর প্রতীক);
বশির আহমেদ (বীর প্রতীক)।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুল হাকিম(১৯২৫-২০০০); গভর্নর ১৯৭৫।
আমজাদ হোসেন (বীর মুক্তিযোদ্ধা ১০ নম্বর সেক্টর)
মোঃ আব্দুল বারী মন্ডল (বীর মুক্তিযোদ্ধা।


রাজনীতিবিদ

মৌলভী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার পাহলোয়ান (অবিভক্ত বাংলার আইনসভার সদস্য ১৯২১-১৯৩৯)
আব্দুল করিম - ঢাকার জগন্নাথ হলে ১৯৪৮ সালের ২৯ মার্চ ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলির স্পিকার নির্বাচিত হন;
আব্দুস সালাম তালুকদার (১৯৩৬-১৯৯৯) - বিএনপির মহাসচিব ও এলজিআরডি মন্ত্রী ও চারদলীয় লিঁয়াজো কমিটির চেয়ারম্যান;
রাশেদ মোশারফ - সাবেক ভুমি প্রাতিমন্ত্রী;
এম এ সাত্তার - জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী।
আবুল কালাম আজাদ - সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী;
সিরাজুল হক - সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী;
রেজাউল করিম হীরা - সাবেক ভূমি মন্ত্রী;
মির্জা আজম (১৯৬২) - হুইপ ও প্রতিমন্ত্রী।
[[মোর্শেদ রহমান রিয়াদ]] প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড পার্টি (BSP)
আশরাফ উদদৌলা পাহলোয়ান (সাবেক সাংসদ ও সাবেক ডাকসু ভিপি)।
আব্দুল কাইয়ুম (১৯৪৮) - সাবেক আই জি পি ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা।
কমরেড মনজুরুল আহসান খান- সাবেক সভাপতি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)

শিক্ষাবিদ ও গবেষক

আতিউর রহমান - অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর।
অাশেক মাহমুদ
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
হাসান হাফিজুর রহমান (১৯৩২-১৯৮৩) - প্রথিতযশা কবি, সাংবাদিক ও সমালোচক, এবং মুক্তিযুদ্ধের দলিল সম্পাদনার জন্য খ্যাত;
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
আনোয়ার হোসেন (অভিনেতা) (১৯৩১-২০১৩) - নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও মুকুটহীন সম্রাট নামে খ্যাত;
আমজাদ হোসেন (১৯৪২) - বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক এবং ব্যতিক্রমধর্মী চলচ্চিত্রকার;
আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৯৪২-২০০৮) - নাট্যব্যক্তিত্ব;
নজরুল ইসলাম বাবু বিখ্যাত গীতিকার ও শিল্পী।

ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ত্ব

রকিবুল হাসান (জন্মঃ ১৯৮৭) - ক্রিকেটার;
জুবায়ের হোসেন - ক্রিকেটার।


জিল বাংলা চিনিকল - দেওয়ানগঞ্জ;
দীঘির পাড়- দেউর পাড় চন্দ্রা
ইন্দিরা- উত্তর দেউর পাড় চন্দ্রা
যমুনা সিটি পার্ক - পোগলদিঘা, সরিষাবাড়ী;
লুইস ভিলেজ রিসোর্ট অ্যান্ড পার্ক-বেলটিয়া, জামালপুর।
বোসপাড়া গ্রামীণ ব্যাংক
যমুনা জেটি ঘাট -জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, সরিষাবাড়ী;
গুঠাইল বাজার ঘাট, ইসলামপুর উপজেলা।
উলিয়া বাজার পাইলিং ঘাট, ইসলামপুর উপজেলা।
বাহাদুরাবাদ ঘাট, কুলকান্দি, ইসলামপুর উপজেলা।
হাইওয়ে রোড,খরকা বিল,মাদারগঞ্জ উপজেলা।
স্বপ্ননীল পার্ক, সাতপোয়া, সরিষাবাড়ী।
মেয়র পার্ক,পপুলার মোড়,সরিষাবাড়ী।
গান্ধী আশ্রম,হাজীপুর।
যমুনা পাড়, দেওয়ানগঞ্জ।
শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী(নির্মানাধীন),সদর
৩৫ বিজিবি ক্যাম্প,সদর
কালীবাড়ী,সরিষাবাড়ি
ফৌজদারি মোড় নতুন পাইলিং,সদর
মধুটিলা ইকোপার্ক
গজনী অবকাশ
রাজীবপুর,রৌমারী
পোল্লাকান্দি ব্রিজ
নান্দিনা-শ্রীপুর-বাশচরা কাছাকাছি পাহাড়
সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ

Saturday, February 9, 2019

পেনড্রাইভ এর লুকানো (Hidden) ফাইল বের করুন খুব সহজে ।



পেনড্রাইভ এর লুকানো (Hidden) ফাইল বের করুন খুব সহজেঃ

আমরা প্রায় সময় দেখতে পাই যে কম্পিউটার ওয়ার্ম বা ভাইরাস এর কারনে উইন্ডোজ অপারাটিং সিস্টেম অনেক সময় পেন ড্রাইভ ফাইল থাকলেও তা অদৃশ্য (Hide) হয়ে যায় পেনড্রাইভ Properties- গেলে দেখা যায় ফাইল গুলো ঠিকই মেমরিতে জায়গা দখল করে আছে আবার ফাইল এর বদলে ফাইল এর শর্টকাট পাওয়া যায় রকম সমস্যায় পরলে Start থেকে All Programme/Accessories/Notepad- গিয়ে নোটপ্যাড খুলুন এবং নিচের সংকেত টি হুবুহু নোটপ্যাড লিখুন

attrib -h -r -s /s /d J:\*.*
J:
del *.Ink /f/s/q
del *.exe /f/q
del Autorun.inf /f/q
C:
tree
cls
exit

এখানে শুধু Drive Letter J: এর পরিবর্তে আপনাদের PC তে যে Drive Letter টি দেখাবে সেটি টাইপ করে দিবেন যেমন- L হলে L: লিখবেন মাই কম্পিউটার ঢুকে ড্রাইভ লেটার টি দেখে নিন নোটপ্যাড এর কোন হরফ বা চিনহ পরিবর্তন করবেন না এখন File/save as – গিয়ে ফাইল টি Unhide.bat নামে সেভ করুন লক্ষ করুন Unhide নামে একটি ফাইল তৈরি হয়েছে এরপর ফাইল টি ডাবল ক্লিক করুন Unhide ফাইল টি চালু করার পর তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এরপর পেনড্রাইভ ওপেন করুন দেখুন অদৃশ্য ফাইল গুলো দেখা যাচ্ছে এটি একসঙ্গে পেনড্রাইভ এর ক্ষতিকর autorun.inf ফাইল, .exe এক্সটেনশন এর সন্দেহ জনক ফাইল এবং শর্টকাট ভাইরাস মুছে দেবে
কোন ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আর ভুলগুলো আমাকে ধরিয়ে দিবেন।




Monday, February 4, 2019



হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে জয় গোস্বামী
অতলতোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে
হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে
করো আনন্দ আয়োজন করে পড়ো
লিপি চিত্রিত লিপি আঁকাবাঁকা পাহাড়ের সানুতলে
যে একা ঘুরছেতাকে খুঁজে বার করো
করেছোঅতলকরেছিলেপড়ে হাত থেকে লিপিখানি
ভেসে যাচ্ছিলভেসে তো যেতইমনে না করিয়ে দিলে;
–’
পড়ে রইল যে!’ পড়েই থাকতসে-লেখা তুলবে বলে
কবি ডুবে মরেকবি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে।।

তসলিমা নাসরিন এর কবিতা :



মুক্তি - তসলিমা নাসরিন

যদি ভুলে যাবার হয়ভুলে যাও
দূরে বসে বসে মোবাইলেইমেইলে হঠা হঠা জ্বালিয়ো না,দূরে বসে বসে নীরবতার বরফ ছুড়ে ছুড়ে এভাবে বিরক্তও করো না
ভুলে গেলে এইটুকু অন্তত বুঝবো ভুলে গেছো,ভুলে গেলে পা কামড়ে রাখা জুতোগুলো খুলে একটু খালি পায়ে হাঁটবো,ভুলে গেলে অপেক্ষার কাপড়চোপড় খুলে একটু স্নান করবো,ভুলে গেলে পুরনো গানগুলো আবার বাজাবো,ভুলে গেলে সবগুলো জানালা খুলে একটু এলোমেলো শোবো
রোদ বা জোৎস্না এসে শরীরময় লুকোচুরি খেলে খেলুকআমি না হয় ঘুমোবো,
ঘুমোবো ঘুমোবো করেও নিশ্চিন্তের একটুখানি ঘুম ঘুমোতে পারিনা কত দীর্ঘদিন!কেবল অপেক্ষায় গেছে না ঘুমিয়ে গেছে জানালায় দাঁড়িয়ে গেছে
কেউ আমাকে মনে রাখছেকেউ আমাকে মনে মনে খুব চাইছেসমস্তটা চাইছে,কেউ দিনে রাতে যে কোনও সময় দরজায় কড়া নাড়বে,সামনে তখন দাঁড়াতে হবে নিখুঁতযেন চুলযেন মুখযেন চোখঠোঁট,যেন বুকচিবুক এইমাত্র জন্মেছেকোথাও ভাঙেনিআঁচড় লাগেনিধুলোবালি ছোঁয়নি
হাসতে হবে রূপকথার রাজকন্যার মতো,তার ক্ষিধে পায় যদিচায়ের তৃষ্ণা পায় যদি!সবকিছু হাতের কাছে রাখতে হবে নিখুঁত!ভালোবাসতে হবে নিখুঁত!নিমগ্ন হতে হবে নিখুঁত!ক্ষুদ্র হতে হবে নিখুঁত!দুঃস্বপ্নকে কত কাল সুখ নামে ডেকে ডেকে নিজেকে ভুলিয়েছি!
ভুলে যেতে হলে ভুলে যাওবাঁচি
যত মনে রাখবেযত চাইবে আমাকেযত কাছে আসবে,যত বলবে ভালোবাসোতত আমি বন্দি হতে থাকবো তোমার হৃদয়েতোমার জালে,তোমার পায়ের তলায়তোমার হাতের মুঠোয়তোমার দশনখে
ভুলে যাওমুখের রংচংগুলো ধুয়ে একটু হালকা হইএকটুখানি আমি হই
====*====*====*====*====


ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত - তসলিমা নাসরিন
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ততবু
এখনো কেমন যেন হৃদয় টাটায়
প্রতারক পুরুষেরা এখনো আঙুল ছুঁলে
পাথর শরীর বয়ে ঝরনার জল ঝরে
এখনো কেমন যেন কল কল শব্দ শুনি
নির্জন বৈশাখেমাঘচৈত্রে
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ততবু
বিশ্বাসের রোদে পুড়ে নিজেকে অঙ্গার করি
প্রতারক পুরুষেরা একবার ডাকলেই
ভুলে যাই পেছনের সজল ভৈরবী
ভুলে যাই মেঘলা আকাশনাফুরানো দীর্ঘ রাত
একবার ডাকলেই
সব ভুলে পা বাড়াই নতুন ভুলের দিকে
একবার ভালোবাসলেই
সব ভুলে কেঁদে উঠি অমল বালিকা
ভুল প্রেমে তিরিশ বছর গেল
সহস্র বছর যাবে আরো,তবু বোধ হবে না নির্বোধ বালিকার
====*====*====*====*====


অভিমান তসলিমা নাসরিন
কাছে যতটুকু পেরেছি আসতেজেনো
দূরে যেতে আমি তারো চেয়ে বেশী পারি।
ভালোবাসা আমি যতটা নিয়েছি লুফে
তারো চেয়ে পারি গোগ্রাসে নিতে ভালোবাসা হীনতাও।
জন্মের দায়প্রতিভার পাপ নিয়ে
নিত্য নিয়ত পাথর সরিয়ে হাঁটি।
অতল নিষেধে ডুবতে ডুবতে ভাসি,
আমার কে আছে একা আমি ছাড়া আর ?
====*====*====*====*====



দুঃখবতী মা - তসলিমা নাসরিন
মা'র দুঃখগুলোর ওপর গোলাপ-জল ছিটিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল,যেন দুঃখগুলো সুগন্ধ পেতে পেতে ঘুমিয়ে পড়ে কোথাও
ঘুমটি ঘরের বারান্দায়কুয়োর পাড়ে কিম্বা কড়ইতলায়।
সন্ধেবেলায় আলতো করে তুলে বাড়ির ছাদে রেখে এলে
দুঃখগুলো দুঃখ ভুলে চাঁদের সঙ্গে খেলত হয়তো বুড়িছোঁয়া খেলা।
দুঃখরা মা'কে ছেড়ে কলতলা অব্দি যায়নি কোনওদিন।
যেন এরা পরম আত্মীয়খানিকটা আড়াল হলে বিষম একা পড়ে যাবেন মা;কাদায় পিছলে পড়বেনবাঘে-ভালুকে খাবেদুষ্ট জিনেরা গাছের মগডালে
বসিয়ে রাখবে মা'কে-
দুঃখগুলো মা'র সঙ্গে নিভৃতে কী সব কথা বলত...
কে জানে কী সব কথা
মা'কে দুঃখের হাতে সঁপে বাড়ির মানুষগুলো অসম্ভব স্বস্তি পেত।
দুঃখগুলোকে পিঁড়ি দিত বসতে,লেবুর শরবত দিতবাটায় পান দিত,দুঃখগুলোর আঙুলের ডগায় চুন লেগে থাকত...
ওভাবেই পাতা বিছানায় দুঃখগুলো দুপুরের দিকে গড়িয়ে নিয়ে
বিকেলেই আবার আড়মোড়া ভেঙে অজুর পানি চাইত,জায়নামাজও বিছিয়ে দেওয়া হত ঘরের মধ্যিখানে।
দুঃখগুলো মা'র কাছ থেকে একসুতো সরেনি কোনওদিন।
ইচ্ছে ছিল লোহার সিন্দুকে উই আর
তেলাপোকার সঙ্গে তেলোপোকা আর
নেপথলিনের সঙ্গে ওদের পুরে রাখি।
ইচ্ছে ছিল বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রের জলেকেউ জানবে না,ভাসিয়ে দেব একদিন
কচুরিপানার মতোখড়কুটোর মতোমরা সাপের মতো ভাসতে ভাসতে দুঃখরা
চলে যাবে কুচবিহারের দিকে...
ইচ্ছে ছিল
দুঃখগুলো মা'র সঙ্গে শেষ অব্দি কবর অব্দি গেছে,তুলে নিয়ে কোথাও পুঁতে রাখব অথবা ছেঁড়া পুঁতির মালার মতো ছুড়ব
রেললাইনেবাঁশঝাড়েপচা পুকুরে। হল কই?মা ঘুমিয়ে আছেনমা'র শিথানের কাছে মা'র দুঃখগুলো আছে,নিশুত রাতেও জেগে আছে একা একা।
====*====*====*====*====


সময় তসলিমা নাসরিন
রাত তিনটেয় ঘুম ভেঙে গেলে এখন আর বিরক্ত হই না
রাতে ভালো ঘুম না হলে দিনটা ভাল কাটে না – এমান বলে লোকে ।
দিন যদি ভাল না কাটে তাহলে কি কিছু যায় আসে !
আমার দিনই বা কেন রাতই বা কেন ?
দিন দিনের মতো বসে থাকে দূরে আর রাত রাতের মতো ,
ঘুমিয়ে থাকার গায়ে মুখ গুঁজে গুঁটি গুঁটি শুয়ে থাকে জেগে থাকা ।
এসব দিন রাত এসব সময় এসব বিয়ে আমার করার কিছুই নেই ,
জীবন আর মৃত্যু একাকার হয়ে গেলে কিছু আর করার থাকে না কিছু না ।
আমি এখন মৃত্যু থেকে জীবনকে বলে কয়েও সরাতে পারি না ,
জীবন থেকে মৃত্যুকে আলগোছে তুলে নিয়ে রাখতে পারি না কোথাও আপাতত ।
====*====*====*====*====


প্রত্যাশা তসলিমা নাসরিন
কারুকে দিয়েছ অকাতরে সব ঢেলে
সেও অন্তত কিছু দেবে ভেবেছিলে।
অথচ ফক্কাশূন্যতা নিয়ে একা
পড়ে থাকো আর দ্রুত সে পালায় দূরে
ভালবেসে কিছু প্রত্যাশা করা ভুল।
আলোকিত ঘর হারিয়ে ধরেছ অন্ধকারের খুঁটি
যারা যায় তারা হেসে চলে যায়পেছনে দেখে না ফিরে।
তলা ঝেড়ে দিলেযদিও জোটেনি কানাকড়ি কিছু হাতে
তুমি অভুক্তঅথচ তোমার সম্পদ খায় তারা
যাদের বেসেছ নিংড়ে নিজেকে ভাল।
ঠকতেই হবে ভালবেসে যদি গোপনে কিছুর করো
প্রত্যাশা কোনওএমনকি ভালবাসাও পাবার আশা।
====*====*====*====*====


বড় ভয়ে গোপনে গোপনে বাঁচি তসলিমা নাসরিন
মানুষের চরিত্রই এমন
বসলে বলবে নাবসো না
দাঁড়ালেকি ব্যাপার হাঁটো
আর হাঁটলেছিবসো।
শুয়ে পড়লে ও তাড়া – নাও উঠো,
না শুলে ও স্বষ্তি নেইএকটু তো শুবে !
ওঠ বস করে করে নষ্ঠ হচ্ছে দিন
এখনো মরতে গেলে বলে ওঠে – বাঁচো
না জানি কখন ও বাঁচতে দেখলে বলে উঠবে – ছিমরো
বড় ভয়ে গোপনে গোপনে বাঁচি।
====*====*====*====*====


ব্যস্ততা তসলিমা নাসরিন
তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম,যা কিছু নিজের ছিল দিয়েছিলাম,যা কিছুই অর্জন-উপার্জন !
এখন দেখ না ভিখিরির মতো কেমন
বসে থাকি !
কেউ ফিরে তাকায় না।
তোমার কেন সময় হবে তাকাবার !
কত রকম কাজ তোমার !
আজকাল তো ব্যস্ততাও বেড়েছে খুব।
সেদিন দেখলাম সেই ভালবাসাগুলো
কাকে যেন দিতে খুব ব্যস্ত তুমি,
যেগুলো তোমাকে আমি দিয়েছিলাম।
====*====*====*====*====


"যেহেতু তুমিযেহেতু তোমার" -  তসলিমা নাসরিন
তোমার কপালের ভাঁজগুলোকেও আমি লক্ষ
করছি যে আমি ভালবাসি,
ভালবাসি কারণ ওগুলো তোমার ভাঁজ,
তোমার গালের কাটা দাগটাকেও বাসি,
যেহেতু দাগটা তোমার
আমার দিকে ছুড়ে দেওয়া তোমার বিরক্ত
দৃষ্টিটাকেও ভালবাসছি,
যেহেতু দৃষ্টিটা তোমারই।
তোমার বিতিকিচ্ছিরি টালমাটাল
জীবনকেও পলকহীন দেখি
তোমার বলেই দেখি।
তোমাকে দেখলেই আগুনের মতো ছুটে যাই
তোমার কাছেতুমি বলেই,
হাত বাড়িয়ে দিইতুমি বলেই তো,
হাত বাড়িয়ে রাখিসে হাত তুমি কখনও
স্পর্শ না করলেও রাখিসে তুমি বলেই তো।
====*====*====*====*====


আমার সময় তসলিমা নাসরিন
সময় এভাবেই হতবুদ্ধির মতো দাঁড়িয়ে থাকবে আরো কয়েক বছর
সময় ঠিক এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে ঠাঁয়
মুখ-মাথা ঢেকেচোখ বুজেপাথর চোখগুলো।

ধীরে ধীরে স্তব্ধতার গা ঘেসে দাঁড়াবে নৈঃশব্দ,
দৈর্ঘৈ আকাশ ছোবেপ্রস্থে দিগন্ত,
সময়ের সন্তান তারানিরাকার নির্বিকার উত্তরাধিকার।

কখনো আমার নিভৃত নিঃশ্বাসে বাসা বাঁধে পরাশ্রয়ী সময়,
কখনো তার ঠাণ্ডা কাঁধ থেকে কবন্ধের মতো হামাগুড়ি দিতে দিতে
তার জানুতে এসে ঝুলে থাকি একাএকা একা ব্রহ্মাণ্ডের সাত পাক
দেখে বিস্মিত হতে হতে ইচ্ছে করে আরও বেচেঁ থাকি,
আরও দীর্ঘ দীর্ঘ দিন। জন্ম থেকে শুরু করি জীবনঅথবা মৃত্যুর গায়ে ধাক্কা খেয়ে পিছু হঠতে হঠতে নতুন কোনো জন্মে গিয়ে ঠেকি।

কে আমাকে বাঁচতে দেবে আর!
সূক্ষ্ম সব সুতোয় কে জানে কোন ভোরে
নিজের সন্তান ভেবেচোখের আড়াল হলে চোখের-জল ফেলা আত্মীয় ভেবেবেঁধেছেআমাকে আমার সময়।
কে যে দিয়েছিলোকার হাতে কবে দিয়েছিলো আমার জন্ম মৃত্যু!

সময় সময় করেআর কার কাছেসময়ের কাছেই দিনভর দৌড়োই
আলোয় মেলে,ভালোবাসে তাকে জীবন্ত করে দেখি চোখ থেকে পাথর খসে যায়,
শরীর থেকে শুধু তার দুটো মুহূর্ত খসে না।
চোখে সে আবার দ্রুত পরে নেয় কুড়িয়ে পাওয়া কালো কাপড়।

উলঙ্গ রাত্তির জুড়ে নৈঃশব্দের হাওয়ায় সাঁতার কাটে বিষাদ,
দিনগুলো মুঠোয় নিয়ে স্তব্ধতা আমার চত্তরে চরকির মতো ঘোরে,
সময় দাঁড়িয়ে থাকেকোনো কথা নেই। সময় দাঁড়িয়ে থাকেকষ্ট নেই,
কাঁপন নেই। সময় দাঁড়িয়ে থাকেপিছুটান নেই।
ঈশ্বরের মতো চলৎশক্তিহীন। সময়।

আমার সময়।
আমি তাকে ভালোবেসে,ঘৃণা করেতাকে সসম্মানেগোপনে,
তাকে হৃৎপিণ্ডেরক্তচলাচলে বহন করিবাঁচাই।
আমার সময়। আমার আততায়ীআমি জন্মে তাকে জন্ম দিই।
====*====*====*====*====


দ্বিখন্ডিত ­ তসলিমা নাসরিন
সে তোমার বাবাআসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার ভাইআসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার বোনআসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার মাআসলে সে তোমার কেউ নয় ।
তুমি একা

যে তোমাকে বন্ধু বলেসেও তোমার কেউ নয় ।
তুমি একা।

তুমি যখন কাঁদোতোমার আঙুল
তোমার চোখের জল মুছে দেয়সেই আঙুলই তোমার আত্মীয়।
তুমি যখন হাঁটোতোমার পা
তুমি যখন কথা বলোতোমার জিভ
তুমি যখন হাসোতোমার আনন্দিত চোখই তোমার বন্ধু।

তুমি ছাড়া তোমার কেউ নেই
কোন প্রানী বা উদ্ভিদ নেই।

তবু এত যে বলো তুমি তোমার,
তুমিও কি আসলে তোমার ?
====*====*====*====*====


হাত তসলিমা নাসরিন
আবার আমি তোমার হাতে রাখবো বলে হাত
গুছিয়ে নিয়ে জীবনখানি উজান ডিঙি বেয়ে
এসেছি সেই উঠোনটিতে গভীর করে রাত
দেখছ না কি চাঁদের নীচে দাঁড়িয়ে কাঁদি দুঃখবতী মেয়ে !

আঙুলগুলো কাঁপছে দেখহাত বাড়াবে কখন ?
কুয়াশা ভিজে শরীরখানা পাথর হয়ে গেলে ?
হাত ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম বর্ষা ছিল তখন,
তখন তুমি ছিঁড়ে খেতে আস্ত কোনও নারী নাগাল পেলে।

শীতের ভারে ন্যুব্জ বাহু স্পর্শ করে দেখি
ভালবাসার মন মরেছেশরীর জবুথবু,
যেদিকে যাইসেদিকে এত ভীষণ লাগে মেকি।
এখনও তুমি তেমন আছ। বয়স গেলবছর গেলতবু।

নিজের কাঁধে নিজের হাত নিজেই রেখে বলি :
এসেছিলাম পাশের বাড়িএবার তবে চলি।
====*====*====*====*====


যদি মানুষ হয়ে না পারিপাখি হয়েও ফিরব একদিন তসলিমা নাসরিন
আমার জন্য অপেক্ষা করো মধুপুর নেত্রকোনা
অপেক্ষা করো জয়দেবপুরের চৌরাস্তা
আমি ফিরব। ফিরব ভিড়ে হট্টগোলখরায় বন্যায়
অপেক্ষা করো চৌচালা ঘরউঠোনলেবুতলাগোল্লাছুটের মাঠ
আমি ফিরব। পূর্ণিমায় গান গাইতেদোলনায় দুলতেছিপ ফেলতে বাঁশবনের পুকুরে-
অপেক্ষা করো আফজাল হোসেনখায়রুননেসাঅপেক্ষা করো ঈদুল আরা,
আমি ফিরব। ফিরব ভালবাসতেহাসতেজীবনের সুতোয় আবার স্বপ্ন গাঁথতে-
অপেক্ষা করো মতিঝিলশান্তিনগরঅপেক্ষা করো ফেব্রুয়ারি বইমেলা আমি ফিরব।
মেঘ উড়ে যাচ্ছে পশ্চিম থেকে পুবেতাকে কফোটা জল দিয়ে দিচ্ছি চোখের,
যেন গোলপুকুর পাড়ের বাড়ির টিনের চালে বৃষ্টি হয়ে ঝরে।

শীতের পাখিরা যাচ্ছে পশ্চিম থেকে পুবেওরা একটি করে পালক ফেলে আসবে
শাপলা পুকুরেশীতলক্ষায়বঙ্গোপসাগরে।
ব্রহ্মপুত্র শোনোআমি ফিরব।

শোনো শালবন বিহারমহাস্থানগড়সীতাকুণ্ড- পাহাড়-আমি ফিরব।
যদি মানুষ হয়ে না পারিপাখি হয়েও ফিরব একদিন।